logo
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
কুষ্টিয়ায় আমন সংগ্রহ / ‘বাজারেই দর বেশি, কষ্ট করে গুদামে নেব কেন’
তিন দিনব্যাপী রাস উৎসবে তীর্থযাত্রীদের ভিড়
সুন্দরবনের দুবলারচরে ঐতিহ্যবাহী তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু হয়েছে। রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে ১৪ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। এই সময় পূণ্যার্থীদের ভিড়ে চরাঞ্চল সরব হয়ে ওঠে। রাস উৎসবের ইতিহাস ও তাৎপর্য বাংলাদেশের প্রাচীনতম সমুদ্র রাস উৎসবের আয়োজন হয় সুন্দরবনের দুবলারচরে। ধারণা করা হয়, ১৯২৩ সালে ঠাকুর হরিচাঁদের ভক্ত সাধু হরিভজন এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন। শোনা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের গাছের ফল-মূল খেয়ে জীবন কাটিয়েছিলেন। অন্যদিকে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, শ্রীকৃষ্ণ এক পূর্ণিমায় গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান, যা থেকেই এই রাস উৎসবের শুরু। রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নান এ উৎসবে পূর্ণিমা তিথিতে দুবলারচরের মন্দিরে পূজা, রাধাকৃষ্ণ, কমল কামিনী ও বনবিবির আরাধনা করা হয়। পূণ্যার্থীরা রাস পূর্ণিমায় প্রথম ঢেউয়ে স্নান করে প্রসাদ উৎসর্গ করেন। প্রতিবার এ মেলায় দেশি-বিদেশি অসংখ্য দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে, যা উৎসবকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ রাস উৎসবে আগতদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি এবং কোস্টগার্ডের টিম। অনুমোদিত পথগুলোতে যাত্রা করার জন্য বিশেষ অনুমতিপত্রে সিল দেওয়া হবে, এবং দর্শনার্থীদের সেই নির্ধারিত পথে চলাচল করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া কোথাও নৌকা থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারে সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে, এবং টিকিট ও টোকেন সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। বিস্ফোরকদ্রব্য, অস্ত্র বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো প্লাস্টিকের প্লেট, মাইক বা পটকা ব্যবহারও নিষিদ্ধ। প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা নাগরিকত্ব সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। বন বিভাগের বিশেষ নজরদারি বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম জানান, তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।