logo
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
খুলনায় / জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের থেকে ৫৮ শহীদ পরিবারকে চেক প্রদান
খণ্ডবিখণ্ড দেহাংশ / এমপি আনারের, ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট মিলেছে মেয়ের সঙ্গে
কলকাতায় খুনের শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডাংশের সঙ্গে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের ডিএনএ মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে দুইজনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেই নমুনা দুটির ডিএনএ মিল পাওয়া গেছে। জানা গেছে, নভেম্বরের শেষ দিকে ডরিন কলকাতায় এসেছিলেন। তখন তার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। তারপর দুটি নমুনা যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সাবেক সংসদ সদস্য কলকাতার যে আবাসনে খুন হয়েছিলেন, সেই সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় চার কেজি মাংস। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কৃষ্ণমূর্তি এলাকার ভাঙ্গরের বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হয় মানবদেহের একাধিক হাড়গোড়। উদ্ধারকৃত ওই মাংস ও হাড়গোড় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল)। সিএফএসএলে’র প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী মানবদেহের সেই অংশগুলো পুরুষের। যদিও সেই খণ্ডবিখণ্ড লাশ এমপি আনারের কি না, তা নিশ্চিত হতেই ডিএনএ পরীক্ষা জরুরি ছিল। সেক্ষেত্রে অনেক আগেই নিহত এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন কলকাতায় আসার কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে গত নভেম্বর মাসেই কলকাতা এসে সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত ১২ মে ভারতে আসেন সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তিনি ওঠেন পূর্ব পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের পশ্চিমবঙ্গের বরানগরের বাড়িতে। পরদিন ১৩ মে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন তিনি। কিন্তু ওইদিন রাতেই নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের বহুতল আবাসনের ‘বিইউ-৫৬’ ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। মূলত শাহীনের নির্দেশেই জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদসহ চারজন এমপি আনারকে ওই আবাসনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অন্যতম অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক সিয়াম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এমপি আনারকে খুন ও খণ্ড-বিখণ্ড দেহাংশ ফেলে দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। নিউটাউনের অভিজাত ওই সঞ্জীভা গার্ডেনের সিসিটিভি ফুটেজেও সিয়ামকে দেখা যায়। সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক অভিযুক্ত কসাই জিহাদ খুনের পরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এমপি আনারের শরীর থেকে মাংস আলাদা করে সেগুলোকে ক্যারিব্যাগে ভরে রাখেন। পরে সেই লাশের টুকরোগুলোকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ভাঙ্গড় ব্লকের কৃষ্ণমাটি খাল এলাকায় ফেলা হয়। জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনটাই জানতে পারেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে ওই খাল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করেন সিআইডির কর্মকর্তারা। অন্যদিকে আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় কিমা করা ৪ কেজি মাংস, যা পরীক্ষা করেন সিআইডি কর্মকর্তা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী সেগুলো পুরুষ মানুষের হাড় ও মাংস। মামলাটি তদন্ত করতে কলকাতা এসেছিল তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। সঞ্জীবা গার্ডেন, বাগজোলা খালসহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনের পাশাপাশি দফায় দফায় সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিবি প্রধান। এদিকে গত ২৩ মে জিহাদ হাওলাদার এবং ৭ জুন সিয়াম হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর আগস্ট মাসে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত জেলা আদালতে প্রায় ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা পড়ে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা), ২০১ (তথ্য প্রমাণ লোপাট), ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা) এবং ১৪ ফরেনার্স আইনে মামলা দেওয়া হয়। জাগতিক / আফরোজা 
কমতে পারে সারাদেশের তাপমাত্রা, চুয়াডাঙ্গায় আজ ১০ দশমিক ২
কুষ্টিয়ায় আমন সংগ্রহ / ‘বাজারেই দর বেশি, কষ্ট করে গুদামে নেব কেন’
ডাকাতি করতে গিয়ে মা-ছেলেকে হত্যা, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
২ বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে এলো চাল
তিন দিনব্যাপী রাস উৎসবে তীর্থযাত্রীদের ভিড়
সুন্দরবনের দুবলারচরে ঐতিহ্যবাহী তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু হয়েছে। রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে ১৪ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। এই সময় পূণ্যার্থীদের ভিড়ে চরাঞ্চল সরব হয়ে ওঠে। রাস উৎসবের ইতিহাস ও তাৎপর্য বাংলাদেশের প্রাচীনতম সমুদ্র রাস উৎসবের আয়োজন হয় সুন্দরবনের দুবলারচরে। ধারণা করা হয়, ১৯২৩ সালে ঠাকুর হরিচাঁদের ভক্ত সাধু হরিভজন এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন। শোনা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের গাছের ফল-মূল খেয়ে জীবন কাটিয়েছিলেন। অন্যদিকে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, শ্রীকৃষ্ণ এক পূর্ণিমায় গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান, যা থেকেই এই রাস উৎসবের শুরু। রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নান এ উৎসবে পূর্ণিমা তিথিতে দুবলারচরের মন্দিরে পূজা, রাধাকৃষ্ণ, কমল কামিনী ও বনবিবির আরাধনা করা হয়। পূণ্যার্থীরা রাস পূর্ণিমায় প্রথম ঢেউয়ে স্নান করে প্রসাদ উৎসর্গ করেন। প্রতিবার এ মেলায় দেশি-বিদেশি অসংখ্য দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে, যা উৎসবকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ রাস উৎসবে আগতদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি এবং কোস্টগার্ডের টিম। অনুমোদিত পথগুলোতে যাত্রা করার জন্য বিশেষ অনুমতিপত্রে সিল দেওয়া হবে, এবং দর্শনার্থীদের সেই নির্ধারিত পথে চলাচল করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া কোথাও নৌকা থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারে সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে, এবং টিকিট ও টোকেন সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। বিস্ফোরকদ্রব্য, অস্ত্র বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো প্লাস্টিকের প্লেট, মাইক বা পটকা ব্যবহারও নিষিদ্ধ। প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা নাগরিকত্ব সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। বন বিভাগের বিশেষ নজরদারি বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম জানান, তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।