logo
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব, থানায় জিডি
জাহাজে ৭ খুন: / চাঁদপুরের পুত্র শোকে মারা গেলেন বাবা
চাঁদপুরের হাইমচরে দুই দিন আগে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে যে সাতজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, তাদের একজন সজীবুল ইসলাম। ছেলের নির্মম মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন বাবা দাউদ মোল্যা। ছেলের শোকে বাবার এমন মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে শোক বিরাজ করছে।  মঙ্গলবার সজীবুলের মৃত্যুর খবর শোনার পর অনবরত কাঁদতে থাকেন বাবা দাউদ মোল্লা। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বজনরা। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত পৌনে ১২টার দিকে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। সজীবুলের মামা আহাদ সরদার শুক্রবার সকালে দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ ওর (সজীবুল) বিয়ের পাঁচ মাস পূর্ণ হবে। পদোন্নতি হলে বেতন বাড়বে, বড় জাহাজে চাকরি হবে- এ কারণে পরীক্ষা দিয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে বাড়িতে ধান কাটার কাজ করে গেছে। যাওয়ার সময় বাড়িতে বলে গেছে, রেজাল্টের অপেক্ষায় ঘরে বসে না থেকে ছোট একটা জাহাজে কাজ করে আসি, তাতে কিছু রোজগার হবে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।’ পাঁচ বছর ধরে জাহাজের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছিলেন সজীবুল ইসলাম। সম্প্রতি জাহাজের চাকরিতে পদোন্নতি পেতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। মাঝের এই সময়টায় বসে না থেকে সপ্তাহ দুয়েক আগে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে গ্রিজার পদে চাকরি নেন। সজীবুল ইসলামের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন সজীবুল। মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান জানান, জাহাজে হত্যার শিকার সজীবুলের বাবা দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সংবাদ রাতেই জানতে পেরেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।  জাহাজে নিহতদের আরেকজন হলেন একই ইউনিয়নের চর যশোবন্তপুর গ্রামের আনিচুর রহমানের ছেলে মো. মাজিদুল ইসলাম (১৬)। মাজিদুল ঝামা বরকাতুল উলুম ফাজিল  মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় জাহাজে কাজ নিয়েছিল কিশোর মাজিদুল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাগুরার মহম্মদপুর ও নড়াইল সীমান্তবর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের বহু মানুষ জাহাজে চাকরি করেন। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এমভি সুলতান সানজানা নামের লাইটার জাহাজডুবির ঘটনায় মহম্মদপুরের পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের চারজন নিহত হন। সোমবার এমভি আল-বাখেরা নামের ওই জাহাজ থেকে মোট সাতজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচজনকে পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়। দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর বাইরে গুরুতর আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাঁদপুরের হাইমচরের ঈশানবালা খালের মুখ এলাকায় মেঘনা নদীর একটি ডুবোচরে এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজটি নোঙর করা ছিল। সোমবার বেলা তিনটার দিকে নৌ পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রক্তাক্ত দেহগুলো জাহাজের কর্মীদের ঘুমানোর কক্ষগুলোতে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। কারও কারও মাথায় গভীর ক্ষত দেখা গেছে। কারও কারও ছিল গলা কাটা। শরীরের অন্যান্য স্থানেও আঘাত ছিল। জাগতিক/ আফরোজা 
কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, নিহত ৩
তিনদিনের ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়
শুঁটকি উৎপাদন / চড়াসুদে ঋণ নেন শুঁটকি ব্যবসায়ীরা ‘লাভের গুড় ‘দাদনে’ খায় 
ফেনীতে ভুয়া সেনা সদস্য আটক
কক্সবাজারে সাগরে নৌকা উল্টে জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে মাছ ধরার সময় নৌকা উল্টে হেলাল উদ্দিন (২৭) নামে এক জেলে নিখোঁজ হওয়ার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার ভোর ৬টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হেলাল উদ্দিন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে। শনিবার সকালে নৌকার মালিক এনাম উল্লাহর মালিকানাধীন একটি টানা জালের নৌকা নিয়ে হেলাল উদ্দিনসহ দুই জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার একপর্যায়ে বড় ঢেউয়ের আঘাতে নৌকাটি উল্টে যায়। এতে হেলাল উদ্দিন নিখোঁজ হন। স্থানীয় জেলেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারেনি। পরদিন সকালে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আজাহারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জাগতিক /জেএএস
দুর্ঘটনার কবলে সারজিস ও হাসনাতের বহরে থাকা গাড়ির
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা থেকে ফেরার পথে ছাত্রনেতা সরজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর বহরে থাকা একটি গাড়ি সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বুধবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে। লোহাগাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে হাসনাত ও সরজিস ছিলেন না, তারা সুস্থ আছেন। তিনি জানান, কক্সবাজারগামী একটি ট্রাক তাদের বহরের একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। ‘সৌভাগ্যবশত, দুর্ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। তাদের গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ পুলিশ ট্রাক চালককে আটক করেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে তারা ফিরছিলেন জাগতিক /আ-রহমান।
সমুদ্র কেড়ে নিল দুই শিশুর প্রাণ
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল লম্বরীঘাট এলাকায় সমুদ্র থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোনকারপাড়া পয়েন্টে সাগরে গোসলে নেমে তিন শিশু নিখোঁজ হয়। উদ্ধার শিশুরা হলেন: টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খুনকার এলাকার কোরবান আলীর ছেলে মোহাম্মদ বাবুল (১০) ও মো. নজির আহমদের ছেলে মনজুরুল ইসলাম (১২)। এর আগে ঘটনার পরপরই মৃত উদ্ধার করা হয়েছিল একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে নুর কামালকে (১০)। তারা তিনজনই টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খুনকার পাড়ার আশরাফিয়া দারুল নাজাত হিফজখানার ছাত্র ছিল। পুলিশ জানায়, রোববার বেলা ১২ টার দিকে টেকনাফ সদরে বিচ পয়েন্ট সাগরে একই এলাকার ১০ থেকে ১৫ জন শিশু মিলে খেলতে যায়। খেলাধুলার একপর্যায়ে তারা সাগরে গোসলে নামে। এতে স্রোতের টানে তিন শিশু ভেসে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্য শিশুদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে এক শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনায় নিখোঁজ থাকে অপর দুই শিশু। রোববার সকালে ওই দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ  গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘রোববার ঘটনার পর থেকে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলেরা নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার পর অন্ধকারের কারণে অভিযান চালানো সম্ভব না হলেও স্বজনরা সন্ধান কাজ অব্যাহত রাখে।’ ওসি বলেন, ‘একপর্যায়ে সোমবার ভোরে টেকনাফ সদরের লেঙ্গুরবিল লম্বরীঘাট এলাকায় সাগরে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে স্বজনরা। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বিষয়টি স্বজনরা পুলিশকে অবহিত করে।’ দুই শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি গিয়াস উদ্দিন। জাগতিক /আ- রহমান।
রায়পুরে যুবদল নেতাকে হুমকি
  লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে যুবদল নেতা মো. হাসানুজ্জামান সবুজ পন্ডিতের প্রায় ৭০ লাখ টাকার জেনারেটর ব্যবসা ভাগিয়ে নিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাকে রায়পুর পৌর তাঁতী লীগের সভাপতি নুরউদ্দিন ভাট শিপলুসহ তার স্বজনরা বিভিন্ন মাধ্যমে এ হুমকি দিচ্ছেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় শুক্রবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। বিষয়টি তিনি থানা পুলিশ ও বিএনপি নেতাদের জানিয়েছেন।   ভুক্তভোগী সবুজ রায়পুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তিনি পৌর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি।    লিখিত অভিযোগে সবুজ জানান, ২০০৬ সালে তিনি ও শিপলু যৌথভাবে রায়পুর পাওয়ার সাপ্লাই নামক একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে জেনারেটর ব্যবসা শুরু করে। এরপর আর্থিক সংকট দেখা দিলে শিপলু তার অংশ বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়। এতে শিবলুর অংশ ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় সবুজ কিনে নেয়। ১৫০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বিক্রিয় চুক্তি সম্পন্ন করে। পরে মালিকানা বুঝে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। তার লাভজনক ব্যবসা দেখে শিপলু বিভিন্নভাবে তা দখলের চেষ্টা করেন। ২০১১ সালের শেষের দিকে শিপলু রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জামশেদ কবীর বাকী বিল্লাহর জলশা ঘরে সবুজকে ডেকে নেন। পরে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র প্রদর্শন করে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এরপর থেকে তার ব্যবসা জোরপূর্বক শিপলু দখল করে নেয়। একপর্যায়ে নাশকতার  একাধিক মামলার আসামি করে তাকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে পাঠায়। এরপর হত্যাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকিতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।    হাসানুজ্জামান সবুজ পন্ডিত বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর শিপলুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে ব্যবসা বুঝে নিতে বলেন। এতে ব্যবসা বুঝে নেওয়ার পর পুনরায় তা দখলে নেওয়ার জন্য শিপলুসহ তার স্বজনরা হুমকি দিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। গত ১৩ বছরে এ প্রতিষ্ঠান থেকে তারা প্রায় ২ কোটি টাকা লাভ করেছে। বিনিয়োগ ছিল আমার। লাভের অংশ তারা নিয়েছে। আমি ওই টাকা ফেরত চাওয়ায় এখন তারা আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। এর সঙ্গে শিপলুর বাবা হুমায়ুন ভাট ও ভগ্নিপতি এম এ হায়দার অপুও জড়িত রয়েছে।    অভিযোগ অস্বীকার করে নুরউদ্দিন শিপলু ভাট বলেন, সবুজ এক সময় আমার ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল। হিসাব করে তার পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে এখন কোনো লেনদেন নেই।   রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জেনারেটর ব্যবসা নিয়ে দুইপক্ষই থানায় পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করেছেন। তাদেরকে কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। যে সঠিক ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে পারবে তাকে আমরাসহ ব্যবসা বুঝিয়ে দেবো।
সাবেক এমপি মায়ার বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ৬
  চাঁদপুরে মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই দিন রাতে শিপন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে  স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এর আগে গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মোহনপুর গ্রামে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।   মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ৬ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।   এ দিকে, মায়া চৌধুরীর বাড়িতে লুটপাট ও আগুন দেয়ার মামলায় আসামি করায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মায়া চৌধুরীর বাড়িতে কে বা কারা রাতের আঁধারে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার প্রথম প্রতিবাদ আমিই করি। অথচ আমাকেই আসামি করা হয়েছে। আমি মিজান প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। আর তার সমর্থনও করি না।   গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।  
লক্ষ্যমাত্রা ২৬ লাখ ১০ হাজার টন: / চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন শুরু
দেশে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন, যা চলবে আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত। এ সময়ে সাগরের নোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের জেলা চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ হয়; যা থেকে পূরণ হয় দেশের সার্বিক লবণের চাহিদা।   বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ৬৯ হাজার একর জমিতে ২৬ লাখ ১০ হাজার টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মৌসুমে ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন। যা দেশে বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরুর পর ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।   জানা গেছে, ৪ নভেম্বর কুতুবদিয়ায় চলতি মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়। এ উপকূলের ৭০ শতাংশ জমিই এখন লবণ চাষে প্রস্তুত। এ ছাড়া পেকুয়ায় ৫০, টেকনাফে ১০ শতাংশ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৪০ শতাংশ মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। বাকি উপজেলার চাষিরাও মাঠে নামতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী উপজেলা থেকে ৫৫ টন লবণ সংগৃহীত হয়েছে।   বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, চলতি মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে কুতুবদিয়ায়। বলা যায়, মৌসুম শুরুর ১৫ দিন আগে। এর পর পেকুয়া ও বাঁশখালীতে। এখন মোট ১০ শতাংশ জমিতে লবণ উৎপাদিত হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অবশিষ্ট ৯০ শতাংশ জমিতে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হবে; চলবে টানা পাঁচ মাস। তাপমাত্রা বেশি থাকলে লবণের বাম্পার উৎপাদন হতে পারে।   বিসিকের তথ্য বলছে, গত বছর ৬৮ হাজার একরের বেশি জমিতে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তি পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন হয়েছে। এবারও শতভাগ জমিতে পলিথিন প্রযুক্তিতে ব্যবহার হচ্ছে। এ বিষয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির তুলনায় পলিথিন প্রযুক্তিতে লবণ উৎপাদন আড়াই গুণ বেশি হয়। জেলার ৪৪ হাজার প্রান্তিক চাষি, ১ লাখ শ্রমিকসহ অন্তত ১০ লাখ মানুষ লবণ উৎপাদন, বিপণন, পরিবহন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'