logo
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

সহিংসতা বন্ধে নারী মৈত্রীর ১৬ দিনের কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৯

নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা নির্মূলে উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রী বেইজিং ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচিতে উল্লেখ করা ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৬ দিনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রসঙ্গত, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধ করে সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ৪২ বছর আগে গড়ে উঠেছিল নারী মৈত্রী।

২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের সঙ্গে মিল রেখে নারী মৈত্রীর প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির নারী কর্মীরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব নিয়ে আলোচনা, সুরক্ষা নীতি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণ করবেন। এই কর্মসূচি ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত চলবে, যা নারী ও কন্যাশিশুর জন্য একটি নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে।

নারী মৈত্রী ১৬ দিনের কার্যক্রমের লক্ষ্য একীভূত করে দেশজুড়ে গ্রামীণ ও নগর উভয় এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সার্ভাইভার ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে– বাল্যবিয়ে, গার্হস্থ্য সহিংসতা, মৃত্যু নিবন্ধন এবং তামাক ব্যবহারের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো তুলে ধরবে। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনা, উঠান বৈঠক এবং ব্যানার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে ও অপ্রাপ্তবয়স্ক গর্ভধারণ প্রতিরোধ, মোবাইল ভ্যান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, গোলটেবিল বৈঠক এবং র‍্যালি, নাটিকা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং রান্নার প্রতিযোগিতার মতো কার্যক্রম। এসব কার্যক্রমে থাকবে রাজবাড়ী, রায়েরবাজার ও কল্যাণপুরের মতো কমিউনিটি পর্যায়ের কিশোর-কিশোরী এবং দম্পতিরা। লালবাগ ও হাজারীবাগের বস্তি এলাকাগুলোতেও আলোচনা সভা, মিছিল, রোল-প্লে নাটক, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং দম্পতিদের অংশগ্রহণে সৃজনশীল এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

নগর মাতৃসদন এবং পিএইচসিসি কেন্দ্রগুলোতে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনায় নারী অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করবে। সহিংসতায় মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত, ন্যায়বিচারের প্রচার ও নারী মৃত্যুর নিবন্ধন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। তামাক ব্যবহার ও পারিবারিক সহিংসতার আন্তঃসংযোগ তুলে ধরে নারীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হবে।

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত নারী মৈত্রী, বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করার পাশাপাশি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সংগঠনটির সমন্বিত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আইনি সহায়তা, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও কমিউনিটিভিত্তিক ক্যাম্পেইন।

নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি বলেন, ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। বাংলাদেশে এখনও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব রয়েছে। লাখো নারী ও কন্যা শিশু হয়রানির শিকার হলেও তাদের কণ্ঠস্বর অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। এ বছর আমরা সহিংসতা প্রতিরোধ ও নির্মূলের বার্তাটি জোরালোভাবে প্রচার করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই ক্যাম্পেইন একটি কার্যকর পরিবর্তন আনার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়