সিলেটে সাবেক মেয়র-এমপিসহ ৩২১ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে নগরীর শাহপরাণ (রহ.) থানায় বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। ওই থানাধীন বুরহান উদ্দিন সাদিপুর-২ এলাকার বাসিন্দা বেলাল মিয়ার ছেলে সওদাগর আহমদ (৩৮) বাদী হয়ে ৩২১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি (০৬-০৯-২০২৪) দায়ের করেন। দণ্ডবিধির ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/১১৪/ পেনালকোড ১৮৬০ তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে দায়েরকৃত মামলায় সাবেক দুই মন্ত্রী-এমপিসহ ১২১ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০/২০০ জনকে আসামি করা হয়।
আনোরুজ্জামান ছাড়াও এ মামলার এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন- সিলেট-৩ আসনরে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫), সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীদার (৪৫), আনোরুজ্জামানের এপিএস শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (৪০), সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম (৩৫), সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ (৩০),সাজলু লস্কর (৪০), মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু (৪০), এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রাহি (৩০), সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব (২৬), মহানগর যুবলীগের সদস্য সুধীন্দ্র দাস শুদ্র (৩৫), জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সিসিকের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিল জাহাঙ্গীর আলম (৫০)।
অন্য আসামিরা হলেন- সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল রুহেল আহমদ (৩২), সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আব্দুল মোমেন, খলিলুর রশিদ (৩৫), মনিন্দ্র রঞ্জন দে (৪৫), আফজল উরফে রামদা আফজল (৪৫), আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৮), রাজিত মাহমুদ (২২),আরজু উরফে কালা আরজু (২৮),বাদল(২৭),হিরন (২৬),সিলেট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি লোকমান (৩৭), নাবিল আহমদ (২৭), মহানগর যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক রফিক মিয়া (৪৫), তানভীর ইসলাম শিপন (২৭), হোসাইন আহমদ নোমান (২৭), রাশেদ আহমদ (২৪), জুনেদ আহমদ (২৪), সাজন আহমদ (২৭), নাঈম আহমদ (৩০), ২৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাহিদ রহমান উরফে ককটেল সাব্বির (৩২), শামীম ইকবাল (৪৫), শাহান মিয়া (৩৫), সালেহ (৩৪), গিলমান (৩০), ফাহিম আহমেদ (২৪), পাভেল আহমদ (২৫), রুবেল (২৩), তোফাজ্জল (২৮), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২), আবু বকর মিশকাত (২৬), মো. মাহদি নাদিম (২৫), তানজিম ইসলাম (২৮), মানসুর হাসান চৌধুরী (৩৫), মনজুর আহমদ (৩৫)।
আরো আসামি করা হয়- সাঈদ আহমদ মানিক (৫৫), অনিক দাস (৩০), আব্দুল ওয়াহিদ খান সাদ্দাম (৪০), শাহেদ আহমদ (৩০), পাপলু মিয়া (২৮), শাহিন আহমদ (৪৫), ফাওয়াজ রহমান (৩৫), অন্তর (২৫), কামরুল ইসলাম (৩২), মান্নান মিয়া (৫৭), আবু খালেদ (২৮), আব্দুল ওয়াহিদ খান সাদ্দাম (৪০), আছাদ আহমদ (২৫), মোকাছির আহমদ (২৭),বাবুল হোসেন (৪০),আলা উদ্দিন আলাই (৫০),বুরহান উদ্দিন রাজন (৩৫),মঞ্জুর খান (৪৫),মনিজ লাল দে (৫০), তোফায়েল আহমদ চৌধুরী স্বপন (৫০), নজরুল (৩০), শাকিল চৌধুরী জুবেল (৩০), খয়ের মাস্টার (৫৫), আশাই মিয়া (৬০), বেলাল আহমদ (৪৫), সুনু মিয়া (৪৫), আব্দুল মুহিত শিরিন (৪১), সাদিকুর রহমান আজলা (৩০), আনছার (৩০), জান্নাতুল নাসরিন উর্মি (৩৫), ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসমাইল মাহমুদ সুজন (৫০), সাধারণ সম্পাদক মঈন (৪৫), অরবিন্দ চন্দ্র দাস (৩৮), সোহেল আহমদ (৩০), মো. জমশের (৪৫), এহিয়া আহমদ সুমন (২৮), নাজিম উদ্দিন (৩৮), শাহরিয়া (সবুজ) (২৮), আব্দুর রহিম (৩৩), সারওয়ার হোসেন চৌধুরী (৩৮), সুহেল (৩০)।
এছাড়াও জুবের আহমদ জুবের (৩০), এম জয়নুল আবেদীন (জুনেল), জয়নাল আবেদীন (৪০), ছয়েফ, জাহেদ (৩৬),তাহমিদ আহমদ নাদেল (৩৬), উন্মর (৩২), উসমান (২৮), আফসার আহমদ (৫০), এবাদুর রহমান (৩৮), সাইদুল উরফে ছিনতাইকারী সাইদুল (৩০),পারভেজ আহমদ (৩০), শিপু আহমদ (২৮), সাইদ আহমদ মানিক (৫০), তারেক উরফে বটলা তারেক (৩০), আকবর হোসেন অপু (২৬), মো. রাবেল মিয়া (৪৫), মো. সিরাজুল ইসলাম (৫১),সাজন খান (৩৫), মো. জালালুর হক (৪০), জালাল মিয়া (২৯), রুকুন মিয়া (৩০), আব্দুল আহাদ সুমন (৪০), তাজিম আহমদ (২৮), আশরাফ খান মাছুম (৩৫), নিজাম উদ্দিন (৩৮), কুটিন মিয়া (৪৪), সাহা (২৬), হেলাল আহমদ (২৮), জিলাল আহমদ (৫০), মজনু মিয়া (৪০), ফয়জুর রহমান (৩৫), ওমর ফারুক ফরহাদ (৩৭)-সহ ১০০/২০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিতে মিছিলসহকারে বন্দরবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে সিলেট-তামাবিল সড়কের শিবগঞ্জ নাদিরা ফার্নিচারের সামনে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান, ককটেলসহ মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মিছিলে গুলি ছোড় এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে মিছিলে থাকা ছাত্র-জনতা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থ ত্যাগ করে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে আসামিরাও ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে দুজন লোক বাদীকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
মন্তব্য করুন