এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার ২
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে দুই কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চাঁদার দাবিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন গ্রুপের সদস্যরা এ হত্যাচেষ্টা চালায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইমন গ্রুপ এবং আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ফলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে এলিফ্যান্ট রোডের ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মালটিপ্ল্যান সেন্টার) সামনে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক ও কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দীপুকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত এহতেশামুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দীপু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
মামলা ও গ্রেফতার
মামলার এজাহারে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি ইমনের পাশাপাশি এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মুন্না, আসিফ ওরফে ঝন্টু, একেএম চঞ্চল, খোকন, সাইদ আসাদ, জসিম ওরফে কলা জসিম, তুষার ওরফে কিলার তুষার এবং তৌফিক এহসান।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ আসিফ ও কাউসার নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে অভিযান চালানো হয়।
চাঁদাবাজির অভিযোগ
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে মালটিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের হুমকি ও হয়রানি করা হয়। এহতেশামুল ও দীপু চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
পুলিশ ও সরকারের প্রতিক্রিয়া
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম জানান, মালটিপ্ল্যান সেন্টারের সাম্প্রতিক নির্বাচনের বিরোধ থেকে এই হামলা হতে পারে। তবে বিস্তারিত কারণ জানতে আসামিদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”
ব্যবসায়ীদের দাবি
ব্যবসায়ীরা জানান, দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্যের দ্বন্দ্ব এবং চাঁদাবাজি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাগতিক/বি
মন্তব্য করুন