পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

দিনে ঝলমলে রৌদ্রের দেখা মিললেও বিকেল গড়াতেই হালকা কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাস থাকায় তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। শীত ঋতুর শুরু থেকেই জেলার তাপমাত্রার পারদ ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই ওঠা-নামা করেছে। কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ে বেইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে পরিমাপক কেন্দ্রটি। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। গতকালও এ জেলায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
পঞ্চগড়ে গত ৫ দিন ধরে তৃতীয় দফায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সন্ধ্যা হতেই জেলা জুড়ে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে দুঃস্থ, ছিন্নমূল ও ভবঘুরে লোকজনের। ঠাণ্ডার কারণে আজও পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত লোকজনের ভীড় দেখা গেছে।
চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শীতের তীব্রতা থেকে শরীরে উষ্ণতা যোগাতে শহরের পুরনো মোটা কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভীড় বেড়েছে। নিম্নআয়ের লোকজনের পাশাপাশি মধ্য আয়ের লোকজনও অল্প টাকায় এসব কাপড় কিনছেন।
এদিকে, দেশের শীত প্রধান অঞ্চল হিসেবে খ্যাত শ্রীমঙ্গল। এখানে কয়েক দিন ধরে ৮ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে তাপমাত্রা। এই অবস্থায় দুভোর্গে পড়েছেন নিন্মআয়ের মানুষেরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে চা বাগানের শ্রমিকরা।
রাত ১১টার পর শুরু হয় কুয়াশা আর তা অনেক বেলা পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এতে গাড়ীচালকরাও পড়েছেন বিপাকে।
চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদর হাসপাতালে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশী ভর্তি হচ্ছে। শয্যা সংখ্যার বিপরীতে তিন-চারগুণ রোগী বেশী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, আমাদের শয্যা ও জনবল সংকটের পরও চিকিৎসক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। শীতকালে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন আক্রান্ত হয়ে থাকে।
জাগতিক/ আফরোজা
মন্তব্য করুন