বায়ুদূষণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ঢাকা
বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের ১২৬টি শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ঢাকা। ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একেিউআই) অনুযায়ী ঢাকার স্কোর ছিল ৩৫৪, যা 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে গণ্য করা হয়।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোর ২২৯। তৃতীয় স্থানে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটরের স্কোর ২২২।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি, যার স্কোর ২০৬। পঞ্চম স্থানে ভারতের কলকাতার স্কোর ২০৪।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার), একটি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বায়ু মান পর্যবেক্ষণ করে এবং মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ুর নির্মলতা বা দূষণ স্তরের প্রতি মানুষের সচেতনতা তৈরি করে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণ মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য। এটি স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় বায়ু দূষণের পাঁচটি মূল উপাদান: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩) এর ভিত্তিতে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান তিনটি উৎস হচ্ছে—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ সাইটের ধুলা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রধান কারণ।
মন্তব্য করুন